Skip to main content

ইঁদুরে কামড়ালে কী করবেন?




ইঁদুর কামড়ালে প্রথমে রক্ত বন্ধ করতে হবে। 

ইঁদুর কামড়ালে কেমন যন্ত্রণা হয়, তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। ইঁদুর ৬০টির বেশি রোগের জীবাণু বহন ও বিস্তার করে। এর মধ্যে রয়েছে প্লেগ, অ্যাইরোসিস, চর্মরোগ, কৃমি রোগ, হান্টা ভাইরাস, ইঁদুরে কামড়ানো জ্বর, টাইফয়েড, জন্ডিস, ক্ষেত্রবিশেষে জলাতঙ্ক।

ইঁদুরে কীভাবে জীবাণু ছড়ায়
* ইঁদুরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে লালা দিয়ে জীবাণু ছড়ায়।
* ইঁদুরের মলমূত্র ও লোমের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়।
ইঁদুরের কামড়ে শরীরে যা ঘটে
* আক্রান্ত জায়গায় ব্যথা হয়, লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়।
* আক্রান্ত জায়গায় চুলকানি ও মাংসপেশিতে ব্যথা হতে পারে ।
* মাথাব্যথা ও জ্বর হতে পারে।
* যদি ইনফেকশন হয়, তবে আক্রান্ত জায়গায় সমস্যা হয়ে জটিলতা হতে পারে।
* কামড়ানোর পর আর কোনো জটিলতা হয় কি না, সেটি বোঝার জন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে কমপক্ষে ১০ দিন নজর রাখা প্রয়োজন এবং শরীরের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
ইঁদুরে কামড়ালে যা করবেন
* প্রথমে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে হবে।
* আক্রান্ত জায়গাটি পরিষ্কার গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য পরিষ্কার কাপড়, গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে কয়েক মিনিট চেপে ধরুন।
* কামড়ের জায়গাটি অ্যান্টিসেপটিক বা পারঅক্সাইড দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করুন।
* পরিষ্কারের সময় ভালো করে খেয়াল করুন, যাতে কোনো ফরেনবডি না থাকে। ফরেনবডি থাকলে পরে জটিলতা হতে পারে।
* সেকেন্ডারি ইনফেকশন থেকে বাঁচতে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে।
* একটি টিটি টিকা নিতে হবে।
* এখন প্রশ্ন হচ্ছে, র‍্যাবিস ভ্যাকসিন নেবেন কি নেবেন না। আমেরিকানভিত্তিক গবেষণায় বলা হয়েছে, ইঁদুর সাধারণত জলাতঙ্ক ছড়ায় না। তবে ইঁদুর যদি গৃহের না হয়ে বন্য হয় এবং জলাতঙ্কের জীবাণু বহন করে, তবে অবশ্যই র‍্যাবিস ভ্যাকসিন নিতে হবে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।

দেশজুড়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের খোঁজ পেতে ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে ভিজিট করুন www.doctorola.com অথবা কল করুন 09 606 707 808 নম্বরে। Doctorola.com বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন ও কল সেন্টার ভিত্তিক ডাক্তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সার্ভিস। 

Comments

Popular posts from this blog

চল্লিশের পর নারীর যেই শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা জরুরি |

চল্লিশের পর নারীর শরীরে কিছু পরীক্ষা অবশ্যই করানো জরুরি। চল্লিশের পর নারীর শরীরে বিভিন্ন রোগব্যাধি আক্রমণ করতে থাকে। তাই এ সময় কিছু পরীক্ষা করা খুবই জরুরি। জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। 1. থাইরয়েডের কার্যক্রম থাইরয়েড সমস্যায় অনেক নারীই ভুগে থাকেন। অনেকের হাইপোথাইরয়েডিজম এবং অনেকের হাইপারথাইরয়েডিজম হয়। হাত-পায়ে ও গাঁটে ব্যথা, পা ফোলা ইত্যাদি থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণ। 2. প্যাপ স্মেয়ার এই পরীক্ষা অনেকেই এড়িয়ে যান। জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি আছে কি না, এটি বোঝার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়। ৩০ বছর থেকেই এ পরীক্ষা করা উচিত। আর অবশ্যই ৪০ বছরের পর এই পরীক্ষা দুই থেকে তিন বছর পরপর করতে হবে। 3. হৃৎপিণ্ড বয়স বাড়তে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই চল্লিশের পর হার্ট ভালো আছে কি না, সেটি নিয়মিত চেকআপ করতে হবে। 4. ডায়াবেটিস ৪০ বছরের পর অনেক নারীই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। বিশেষ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে। তাই ডায়াবেটিস আছে কি না, এই পরীক্ষাও করা উচিত। 5. রক্তচাপ মেনোপজ হওয়ার পর উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বেড়