শিশুকে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। |
দীর্ঘদিন বাচ্চার যদি সর্দি লেগে থাকে, কার ভালো লাগে বলেন? এর ফলে বাচ্চা তো সারাক্ষণ অস্বস্তিতে থাকে, কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না। আর মা-বাবারও উদ্বেগের সীমা থাকে না। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের দীর্ঘমেয়াদি সর্দির প্রধান কারণ অ্যালার্জি। এটা অনেক সময় বংশগতও হতে পারে।
পরিবারে কারো এমন ঘন ঘন সর্দি বা অ্যাজমার লক্ষণ থাকতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, বংশগত আর ছোঁয়াচে দুটো ভিন্ন বিষয়। আর এ রোগটা যেহেতু ছোঁয়াচে নয়, তাই অ্যালার্জি আক্রান্ত পরিবারের অন্য সদস্য থেকে ছোট শিশুদের দূরে রাখার কোনো মানে হয় না। আবার বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়ের খাবারের সঙ্গেও বাচ্চার এ ধরনের ঘন ঘন সর্দি কাশির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই মায়েদের খাবারে অহেতুক বিধিনিষেধের কোনো প্রয়োজন নেই।
অনেকেই বাচ্চাদের গরুর মাংস, হাঁসের ডিম, ইলিশ, চিংড়ি, মিষ্টিকুমড়া, বাদামসহ অনেক কিছুই খেতে মানা করেন। এটাও ঠিক নয়। এসব খাবারে অ্যালার্জি হয় এটা সত্য, কিন্তু ঢালাওভাবে সব খাবারই খেতে বারণ করা উচিত নয়। যে বাচ্চার যে খাবারে অ্যালার্জি হবে, শুধু সেই খাবার বন্ধ রাখতে হবে।
ঘন ঘন সর্দি প্রতিরোধে আরো যা করতে হবে তা হলো :
১. ধুলাবালি থেকে দূরে থাকা। বাইরে বের হলে মাস্ক বা নাকে রুমাল ব্যবহার করা।
২. আইসক্রিম ও ফ্রিজের পানি শুধু শীতে নয়, সারা বছরই পরিহার করা।
৩. বাচ্চারা বাথরুমে অনেকক্ষণ ধরে থাকেতে চায়, সেটা পরিহার করা।
৪. চুলা ও সিগারেটের ধোঁয়া, মশার কয়েল থেকে শিশুদের দূরে রাখা।
৫. নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করা।
৬. স্কুল বা বাইরে থেকে এসে ঘামে ভেজা জামা দ্রুত পাল্টে ফেলা।
৭. স্যাঁতসেঁতে বদ্ধঘরে এই রোগ বেশি হয়, তাই আলো-বাতাসপূর্ণ পরিবেশে বাচ্চাকে রাখা।
লেখক : রেজিস্ট্রার, শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
About Health.
Comments
Post a Comment