Skip to main content

গুগল ক্রোমের গতি কমে গেলে কি করণীয় ?


বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার বা ব্রাউজার হিসেবে বেছে নেন গুগল ক্রোম। জনপ্রিয়তার বিচারে তাই এটি যে শীর্ষে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয় বলেও দুর্নাম আছে একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলে রাখা, অপ্রয়োজনীয় এক্সটেনশন যুক্ত করা এবং অনেক প্লাগ-ইনসের ব্যবহার আপনাকে ঝামেলায় ফেলতে পারে। এখানে তাই কিছু চটজলদি পরামর্শ দেওয়া হলো। এগুলো অনুসরণ করে গুগল ক্রোমের গতি বাড়িয়ে আপনার কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারেন।

Image result for chrome

অব্যবহৃত প্লাগ-ইন সরিয়ে ফেলুন
ক্রোমের অ্যাড্রেস বারে ‘chrome://plugins’ লিখে এন্টার করুন। প্লাগ-ইনসের তালিকা দেখাবে। প্লাগ-ইন ব্যবহার করেন না কিংবা কম ব্যবহার করা হয়, সেটি Disable
করে দিন।
বাকি প্লাগ-ইন আয়ত্তে রাখুন
অপ্রয়োজনীয় প্লাগ-ইনস মুছে দেওয়ার পর যেগুলো থাকে, সেগুলো যেন ক্রোমের ওপর কম প্রভাব ফেলে সে ব্যবস্থা করে রাখতে পারেন। প্রয়োজন বাদে বাকি সময় এগুলো থামিয়ে রাখা যায়। এ জন্য সেটিংসে গিয়ে একদম নিচে show advanced settings-এ ক্লিক করে privacy-এর নিচের content settings-এ ক্লিক করুন। এরপর plugins থেকে Let me chose when to run plug-in content নির্বাচন করে দিন। এরপর থেকে ফ্লাশ ভিডিওর মতো প্লাগ-ইনসগুলো কার্যকর হওয়ার আগে আপনার অনুমতি নেবে।
অপ্রয়োজনীয় এক্সটেনশন সরিয়ে ফেলুন
এক্সটেনশন অনেক সময় কম্পিউটারের মেমোরি ব্যস্ত রাখে। ফলে কমে যেতে পারে কম্পিউটারের গতি। ক্রোমের অ্যাড্রেস বারে ‘chrome://extensions’ লিখে এন্টার করুন। প্রতিটা এক্সটেনশনের পাশে enabled-এর টিক চিহ্ন তুলে দিলে সেটি কাজ করা বন্ধ হয়ে যাবে। একেবারে মুছে ফেলতে পাশের ডাস্টবিন আইকনে ক্লিক করুন।
অদরকারি ট্যাব বাতিল করুন
Great suspender-এর মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারেন, যা নির্ধারিত সময়ের বেশি অকার্যকর থাকলে নিজে থেকেই ট্যাব অকার্যকর (সাসপেন্ড) করে দেয়। ফলে ট্যাবটি মেমোরি দখল করে রাখবে না। আবার দরকার পড়লে শুধু একটি ক্লিকই যথেষ্ট, পুনরায় লোড হয়ে যাবে ট্যাবটি। সমস্যা একটাই, ওয়েবসাইটটির ঠিকানা পরিবর্তন হলে কিংবা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে ওই ট্যাবের ওয়েবপেজটি তখন আর লোড হবে না।
ব্রাউজার সেশন সংরক্ষণ করে রাখুন
একটি একটি করে ট্যাব সাসপেন্ড না করে কম্পিউটারের মেমোরির ব্যবহার কমিয়ে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন TabCloud+ (https://goo.gl/MUXz7o) এবং Session Buddy (https://goo.gl/wCa5Rj) -এর মতো এক্সটেনশন। এগুলোর সাহায্যে গোটা ব্রাউজারের সবগুলো ট্যাবের তথ্য একসঙ্গে  সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। এরপর ট্যাব মুছে ফেললেও সমস্যা নেই।
ব্যাকগ্রাউন্ড প্রিফেচিংবন্ধ রাখা
আপনার ব্রাউজিংয়ের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে ক্রোম নিজে থেকেই বুঝতে চেষ্টা করে এরপর  আপনি কোথায় যেতে পারেন। সে অনুযায়ী ব্যাকগ্রাউন্ডেই কিছু পেজ খুলে রাখে ক্রোম। এই সুবিধার  নাম প্রিফেচিং। এটি বন্ধ করতে আগের মতোই Show advanced settings-এর প্রাইভেসিতে গিয়ে  Use prediction service to load pages more quickly এর পাশের টিক তুলে দিন। তবে এতে ব্রাউজিং গতি কমে যেতে পারে।
ডেটা সেভারব্যবহার করুন
ওয়েবসাইট লোড হতে বেশি সময় লাগার পেছনের কারণ ইন্টারনেটের ধীরগতিও হতে পারে। ডেটা সেভারকাজে আসতে পারে। এতে ক্রোমের প্রতিটি পাতায় কম তথ্য লোড হয়। ডেটা সেভার এক্সটেনশন নামিয়ে নেওয়ার ঠিকানা: https://goo.gl/RQzk75
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান


Comments

Popular posts from this blog

ইঁদুরে কামড়ালে কী করবেন?

ইঁদুর কামড়ালে প্রথমে রক্ত বন্ধ করতে হবে।  ইঁদুর কামড়ালে কেমন যন্ত্রণা হয়, তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। ইঁদুর ৬০টির বেশি রোগের জীবাণু বহন ও বিস্তার করে। এর মধ্যে রয়েছে প্লেগ, অ্যাইরোসিস, চর্মরোগ, কৃমি রোগ, হান্টা ভাইরাস, ইঁদুরে কামড়ানো জ্বর, টাইফয়েড, জন্ডিস, ক্ষেত্রবিশেষে জলাতঙ্ক। ইঁদুরে কীভাবে জীবাণু ছড়ায় * ইঁদুরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে লালা দিয়ে জীবাণু ছড়ায়। * ইঁদুরের মলমূত্র ও লোমের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়। ইঁদুরের কামড়ে শরীরে যা ঘটে * আক্রান্ত জায়গায় ব্যথা হয়, লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়। * আক্রান্ত জায়গায় চুলকানি ও মাংসপেশিতে ব্যথা হতে পারে । * মাথাব্যথা ও জ্বর হতে পারে। * যদি ইনফেকশন হয়, তবে আক্রান্ত জায়গায় সমস্যা হয়ে জটিলতা হতে পারে। * কামড়ানোর পর আর কোনো জটিলতা হয় কি না, সেটি বোঝার জন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে কমপক্ষে ১০ দিন নজর রাখা প্রয়োজন এবং শরীরের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ইঁদুরে কামড়ালে যা করবেন * প্রথমে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে হবে। * আক্রান্ত জায়গাটি পরিষ্কার গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। * রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য পরিষ্কার কাপড়, গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে কয়েক

চল্লিশের পর নারীর যেই শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা জরুরি |

চল্লিশের পর নারীর শরীরে কিছু পরীক্ষা অবশ্যই করানো জরুরি। চল্লিশের পর নারীর শরীরে বিভিন্ন রোগব্যাধি আক্রমণ করতে থাকে। তাই এ সময় কিছু পরীক্ষা করা খুবই জরুরি। জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। 1. থাইরয়েডের কার্যক্রম থাইরয়েড সমস্যায় অনেক নারীই ভুগে থাকেন। অনেকের হাইপোথাইরয়েডিজম এবং অনেকের হাইপারথাইরয়েডিজম হয়। হাত-পায়ে ও গাঁটে ব্যথা, পা ফোলা ইত্যাদি থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণ। 2. প্যাপ স্মেয়ার এই পরীক্ষা অনেকেই এড়িয়ে যান। জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি আছে কি না, এটি বোঝার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়। ৩০ বছর থেকেই এ পরীক্ষা করা উচিত। আর অবশ্যই ৪০ বছরের পর এই পরীক্ষা দুই থেকে তিন বছর পরপর করতে হবে। 3. হৃৎপিণ্ড বয়স বাড়তে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই চল্লিশের পর হার্ট ভালো আছে কি না, সেটি নিয়মিত চেকআপ করতে হবে। 4. ডায়াবেটিস ৪০ বছরের পর অনেক নারীই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। বিশেষ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে। তাই ডায়াবেটিস আছে কি না, এই পরীক্ষাও করা উচিত। 5. রক্তচাপ মেনোপজ হওয়ার পর উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বেড়