Skip to main content

উইন্ডোজ ১০ কম্পিউটারের গতি বাড়ান


 


অভিজ্ঞরা বলে থাকেন, সাজসজ্জা ও যন্ত্রাংশ ব্যবস্থাপনায় উইন্ডোজ ৭ এবং এক্সপি সেরা, আর সে তুলনায় সর্বশেষ উইন্ডোজ ১০ খানিকটা ভারী অপারেটিং সিস্টেম। যাঁরা সম্প্রতি তাঁদের উইন্ডোজ হালনাগাদ করেছেন, তাঁরা সম্ভবত কিছুটা ধীরগতির অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন, বিশেষ করে যাঁরা উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করে অভ্যস্ত। নতুন অনেক সেটিং যুক্ত হওয়ায় সেগুলো পরিবর্তন করে পুরোনো যন্ত্রাংশেও উইন্ডোজ ১০ চালিত কম্পিউটারের গতি অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব।
 Image result for windows 10 pictures               Image result for windows 10 pictures
স্টার্টআপ প্রোগ্রাম বন্ধ রাখা: দ্রুত ব্যবহারের সুবিধা করতে কিছু প্রোগ্রাম কম্পিউটার চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনা-আপনি চলতে থাকে। এগুলোই স্টার্টআপ আইটেম। এর মধ্যে অনেকগুলোর ব্যবহার খুবই সীমিত। তাই ব্যবহার কম এমন প্রোগ্রামগুলো স্টার্টআপ তালিকা থেকে বন্ধ করে দিলে কম্পিউটার কিছুটা গতি ফিরে পাবে। স্টার্টআপ তালিকাটা এখন থেকে পাওয়া যাবে টাস্ক ম্যানেজারে। এ জন্য স্টার্ট বোতাম বা টাস্কবারে ডান ক্লিক করে টাস্ক ম্যানেজার নির্বাচন করুন বা কি-বোর্ড থেকে একসঙ্গে Ctrl+Shift+Esc চেপে টাস্ক ম্যানেজার চালু করুন। এবার ওপরের দিকে স্টার্টআপ ট্যাবে ক্লিক করে তালিকায় থাকা একেকটি প্রোগ্রাম নির্বাচন করে প্রতিবার নিচে থাকা Disable বোতামটি চেপে দিন।
 অপ্রয়োজনীয়
 অ্যাপ নিষ্ক্রিয়করণ: ইনস্টল করা সফটওয়্যারে তালিকা দেখতে টাস্কবারে থাকা সার্চ বক্সে Uninstall লেখার পর অনুসন্ধান তালিকা থেকে Change or remove a program অপশনটিতে ক্লিক করুন। এখান থেকে যেসব প্রোগ্রাম দরকার, নেই সেগুলো বেছে বেছে ওপরের আনইনস্টল বোতামে ক্লিক করে মুছে দিন। আর উইন্ডোজের নিজস্ব অনেক অ্যাপ আছে, যেগুলো নিজের অজান্তেই চলতে থাকে। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করতে স্টার্ট বোতাম থেকে সেটিংস অপশনে ক্লিক করুন। সেখান থেকে প্রাইভেসি নির্বাচন করে বাঁ দিকে একেবারে নিচের দিকে থাকা ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস ক্লিক করুন। এবার এই তালিকা থেকে অন করা অ্যাপগুলো অফ করে দিন।
 অ্যাডভান্স
 সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তন: স্টার্ট মেনুতে মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করে সিস্টেম নির্বাচন করুন। এবার বাঁ থেকে অ্যাডভান্স সিস্টেম সেটিংসে ক্লিক করে ওপরে থাকা অ্যাডভান্সড ট্যাবে ক্লিক করুন। এখন প্রথমেই থাকা পারফরম্যান্স অংশের সেটিংস বোতামে ক্লিক করুন। ওপরের ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস ট্যাবের অ্যাডজাস্ট ফর বেস্ট পারফরম্যান্স নির্বাচন করে দিন। পর্দায় দেখতে চোখের আরামের জন্য নিচের তালিকা থেকে শুধু স্মুথ এজ অব স্ক্রিন ফন্টস অপশনটি টিক দিয়ে দিন।
 হার্ড
 ডিস্ক পরিষ্কার করা: টাস্কবারে থাকা সার্চ বক্সে লিখুন Disk Cleanup এবং কি-বোর্ডে এন্টার বোতাম চাপুন। এবার সিস্টেম ড্রাইভ (C:) ড্রাইভ নির্বাচন করে বা থাকা অবস্থায় ওকে করুন। ওপরের দিকে থাকা তালিকায় টিক দিয়ে নিচের ক্লিন আপ সিস্টেম ফাইলস বোতামে ক্লিক করুন। এবারও সিস্টেম ড্রাইভ নির্বাচন করে ওকে করুন। নতুন আসা তালিকায় পুনরায় টিক দিয়ে ওকে করুন। তারপর ডিলিট ফাইলস বোতামে ক্লিক করে অপ্রয়োজনীয় পুরোনো সব ফাইল মুছে দিন। এতে হার্ড ডিস্কের অনেকখানি জায়গা খালি হয়ে যাবে।

Comments

Popular posts from this blog

ইঁদুরে কামড়ালে কী করবেন?

ইঁদুর কামড়ালে প্রথমে রক্ত বন্ধ করতে হবে।  ইঁদুর কামড়ালে কেমন যন্ত্রণা হয়, তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। ইঁদুর ৬০টির বেশি রোগের জীবাণু বহন ও বিস্তার করে। এর মধ্যে রয়েছে প্লেগ, অ্যাইরোসিস, চর্মরোগ, কৃমি রোগ, হান্টা ভাইরাস, ইঁদুরে কামড়ানো জ্বর, টাইফয়েড, জন্ডিস, ক্ষেত্রবিশেষে জলাতঙ্ক। ইঁদুরে কীভাবে জীবাণু ছড়ায় * ইঁদুরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে লালা দিয়ে জীবাণু ছড়ায়। * ইঁদুরের মলমূত্র ও লোমের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়। ইঁদুরের কামড়ে শরীরে যা ঘটে * আক্রান্ত জায়গায় ব্যথা হয়, লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়। * আক্রান্ত জায়গায় চুলকানি ও মাংসপেশিতে ব্যথা হতে পারে । * মাথাব্যথা ও জ্বর হতে পারে। * যদি ইনফেকশন হয়, তবে আক্রান্ত জায়গায় সমস্যা হয়ে জটিলতা হতে পারে। * কামড়ানোর পর আর কোনো জটিলতা হয় কি না, সেটি বোঝার জন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে কমপক্ষে ১০ দিন নজর রাখা প্রয়োজন এবং শরীরের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ইঁদুরে কামড়ালে যা করবেন * প্রথমে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে হবে। * আক্রান্ত জায়গাটি পরিষ্কার গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। * রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য পরিষ্কার কাপড়, গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে কয়েক

চল্লিশের পর নারীর যেই শারীরিক পরীক্ষাগুলো করা জরুরি |

চল্লিশের পর নারীর শরীরে কিছু পরীক্ষা অবশ্যই করানো জরুরি। চল্লিশের পর নারীর শরীরে বিভিন্ন রোগব্যাধি আক্রমণ করতে থাকে। তাই এ সময় কিছু পরীক্ষা করা খুবই জরুরি। জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। 1. থাইরয়েডের কার্যক্রম থাইরয়েড সমস্যায় অনেক নারীই ভুগে থাকেন। অনেকের হাইপোথাইরয়েডিজম এবং অনেকের হাইপারথাইরয়েডিজম হয়। হাত-পায়ে ও গাঁটে ব্যথা, পা ফোলা ইত্যাদি থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণ। 2. প্যাপ স্মেয়ার এই পরীক্ষা অনেকেই এড়িয়ে যান। জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি আছে কি না, এটি বোঝার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়। ৩০ বছর থেকেই এ পরীক্ষা করা উচিত। আর অবশ্যই ৪০ বছরের পর এই পরীক্ষা দুই থেকে তিন বছর পরপর করতে হবে। 3. হৃৎপিণ্ড বয়স বাড়তে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই চল্লিশের পর হার্ট ভালো আছে কি না, সেটি নিয়মিত চেকআপ করতে হবে। 4. ডায়াবেটিস ৪০ বছরের পর অনেক নারীই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। বিশেষ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে। তাই ডায়াবেটিস আছে কি না, এই পরীক্ষাও করা উচিত। 5. রক্তচাপ মেনোপজ হওয়ার পর উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বেড়